আনুমানিক ২৫০ বছরেরও বেশি বয়স্ক তেঁতুল গাছটি এক নজর দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসে মানুষ। ডালপালা ছড়িয়ে বেশ খানিকটা জমি দখল করে আছে গাছটি। দূর থেকে দেখে গাছটিকে কখনও মনে হয় বিরাট বটগাছ আবার কখনও মনে হবে তেঁতুল বাগান। এ গাছ নিয়ে এলাকায় মুখোরোচক গল্পেরও শেষ নেই।
গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের বেলাই বিলপাড়ে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তেঁতুল গাছটি। বৃদ্ধ এই গাছটির নিচে প্রতিদিন নানা বয়সী মানুষ শীতল হাওয়ায় প্রাণ জুড়ান। গাছটির পাশেই ফুলদী গ্রামের সামাজিক ঈদগা, ফুলদী গাউসিয়া সুন্নীয়া মাদরাসা, ফুলদী হাফিজিয়া মাদরাসা ও ফুলদী জামে মসজিদ।
জানা যায়, বিশাল তেঁতুল গাছটির মোটা ডালগুলো আশপাশের জমিতে ছড়িয়ে আছে। প্রতি বছর গাছটিতে তেঁতুলও হয় মোটামোটি ভালোই। স্থানীয়দের সুবিদার্থে তামান সরকার নামে এক সৌদী প্রবাসীর অর্থায়নে গাছটির চারপাশ পাকা করা হয়েছে।
ফুলদী গাউসিয়া সুন্নীয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সুপার মাওলানা মো. বাহাউদ্দিন (৫৮) বলেন, ২০ বছর আগে তার চাচা শাহাজউদ্দিন সরকার ১১৫ বছর বয়সে মারা যান। আর গাছ সম্পর্কে তিনি তার ওই চাচার কাছ থেকেই শুনেছেন। তার চাচা আবার তার দাদার কাছ থেকে। এভাবেই আনুমানিক ২৫০ বছরেরও বেশি সময় কালের সাক্ষী হয়ে আছে ফুলদীর ওই তেঁতুল গাছটি।
গাছটির বর্তমান মালিক স্থানীয় ঈদগা কর্তৃপক্ষ। তবে গাছটি কে বা কারা রোপণ করেছে তা তিনি বলতে পারেননি। এক সময় পুরো এলাকাটি জঙ্গল ছিল। তাই তার ধারণা এটি এমনিতেই জন্মাতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ওই গাছটি নিয়ে অনেক গল্প শোনা যায়। লোকমুখে শোনা যেত সাদা পোশাক পরিহিত বেলাই বিলের পানির উপর দিয়ে হেঁটে গাছটির পশ্চিম পাশে কে বা কারা নামাজ আদায় করত। আর তখন সমস্ত এলাকায় ফুলের সুবাস ছড়াত।